Thursday, May 2, 2024
Homeপ্রাকটিস অব মেডিসিনহোমিওপ্যাথিতে পিত্ত পাথরের চিকিৎসা

হোমিওপ্যাথিতে পিত্ত পাথরের চিকিৎসা

হোমিওপ্যাথিতে পিত্ত পাথরের চিকিৎসাঃ

পিত্তপাথুরী কি?

পিত্তথলিতে পাথুরী রোগ হলে তাকে Cholelithiasis বলে। পিত্তথলিতে ক্যালসিয়াম ও অন্যান্য কিছু সল্ট জমাকৃত হয়ে শক্ত আকার ধারণ করলে সেটিকেই পিত্তপাথুরী বলে। এই পাথরগুলি জমতে জমতে আকারে বড় হয়ে গেলে পিত্তনালী থেকে পিত্ত অপসারণে বাধা দিলে তখন নানাবিধ রোগ লক্ষণ দেখা দেয়।

পিত্তপাথুরী কত ধরনের হয়?

পিত্তপাথুরী সাধারণত দুই ধরনের হয়ঃ
১) কোলেস্টেরল পাথর।
২) পিগমেন্ট পাথর।
পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার কারণঃ
সাধারণত যে সমস্ত কারণে পিত্তথলিতে পাথর হয়ে থাকে তা হলঃ
১) পিত্তথলিতে অধিক পরিমাণে কোলেস্টেরল জমা হতে হতে সেটি শক্ত পাথরের ন্যায় হয়।
২) পিত্তথলিতে যে বিলিরুবিন থাকে সেটি অধিক পরিমাণে নিঃসৃত হলে এবং তার সবটুকু নিঃসরণ না হলে তার কিছু অংশ জমে জমে পাথরে পরিণত হতে পারে।
৩) কোন কারণে পিত্তথলি বা গলব্লাডার অসুস্থ হলে সে সাবলীলভাবে পিত্তের নিঃসরণণ করতে পারে না। ফলে পিত্তের কিছু অংশ ভিতরে জমা হতে হতে শক্ত আকার নেয়।
৪) এছাড়াও হরমোনজনিত অসামাঞ্জস্যতা, ডায়াবেটিস জনিত কারণ, অতিরিক্ত স্থূলকায় হওয়া ইত্যাদি কারণগুলোও এই রোগ তৈরিতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে সহযোগিতা করে।
হোমিওপ্যাথিতে পিত্ত পাথরের চিকিৎসা
Gallstones
পিত্তথলিতে পাথরের উপসর্গঃ
সাধারণত যতক্ষণ পিত্তথলির পাথর বড় হয়ে পিত্ত অপসারণে বাধা না দেয় ততক্ষন কোন উপসর্গ বোঝা যায় না।
যে যে লক্ষণ দ্বারা পিত্তথলিতে পাথরের অস্তিত্ব বোঝা যায়ঃ
১) বমি বমি ভাব বা বমি।
২) পিত্তথলির স্থান বরাবর অসহ্য ব্যথা-যন্ত্রণা। এবং এই ব্যথা-যন্ত্রণা সম্প্রসারিত হয়ে কাঁধের দিকে পর্যন্ত ছড়িয়ে যায়।
৩) তলপেটে বেদনা।
পিত্তথলির পাথরের নির্ণয়ঃ
সাধারণত সিটিস্ক্যান বা আলট্রাসনোগ্রাফি এই প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষাগুলোর দ্বারা পিত্তপাথুরী সম্বন্ধে নিশ্চিত হওয়া যায়।
পিত্তথলির পাথরের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাঃ
পিত্ত পাথুরীর চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা খুবই কার্যকরী।
সাধারণত লক্ষণ সাদৃশ্যে এন্টিমায়াজমেটিক ও কনস্টিটিউশনাল চিকিৎসা করতে হয়। লক্ষণ সাদৃশ্যে একক শক্তিকৃত হোমিওপ্যাথিক ঔষধ ব্যবহার করতে হয়।
কিছু মাদার টিংচার ব্যবহার করে ভাল ফল পাওয়া যায়ঃ
যেমন- বার্বেরিস ভলগারিস

বিঃদ্রঃ রোগ মারাত্মক হলে এবং কোন চিকিৎসায় ফল না হলে সার্জারি দ্বারা পিত্তথলির পাথর অপসারণ করতে হবে।

তবে যথাসম্ভব চেষ্টা করতে হবে সার্জারি ছাড়াই হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা দ্বারা পাথর অপসারণ করতে। কেননা পাথর অপসারণ করতে অনেক সময় পিত্তথলি কেটে বাদ দেওয়া হয়। আর একবার পিত্তথলি কেটে বাদ দিলে পরবর্তীতে হজমের মারাত্মক সমস্যা হয়। বিশেষত  পিত্তথলি না থাকলে চর্বি জাতীয় খাদ্য হজমের ক্ষেত্রে খুবই অসুবিধা হয়। কেননা আমরা যে চর্বিজাতীয় খাবার খাই তা হজম করতে পিত্তরসের ভূমিকা প্রধান। আর পিত্তথলি না থাকলে শরীরে সঞ্চিত আকারে পিত্ত জমা থাকতে পারেনা।

ডাঃ দীপংকর মন্ডল
রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথ
০/২৭/০২/২০২২
Dr. Dipankar Mondal
Dr. Dipankar Mondal
আমি ডা. দীপংকর মন্ডল। রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথ। যেকোন নতুন ও পুরাতন রোগের চিকিৎসা করার জন্য যোগাযোগ করুন।
RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments