Monday, May 20, 2024
Homeপ্যাথলজিরক্ত পরীক্ষা রিপোর্ট কিভাবে পড়তে হয়?

রক্ত পরীক্ষা রিপোর্ট কিভাবে পড়তে হয়?

Understanding blood test reports রিপোর্ট কিভাবে পড়তে হয়?

একটি রক্ত পরীক্ষার রিপোর্টে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করতে সাধারণত পরিমাপের metric system এর সংক্ষিপ্ত রূপ ব্যবহৃত হয়।

metric system এ প্রকাশিত সংক্ষিপ্ত রূপের abbreviation:

cmm: cells per cubic millimeter.
fL: (femtolitre): fraction of one millionth of a litter.
g/dL: grams per deciliter.
IU/L: international units per litre.
mEq/L: milliequivalent per litter.
mg/dL: milligrams per deciliter.
mL: milliliter.
mmoL/L: nanogrsms per milliliter.
pg:(picograms) one trillionth of a gram.

তিনটি প্রধান পরীক্ষার সমন্বয়ে একটি রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট তৈরি করা হয়।
1) Complete blood count (CBC)
2) Comprehensive metabolic panel (CMP)
3) Lipid panel (LP)

Understanding blood test reports. রিপোর্ট কিভাবে পড়তে হয়?
Blood test

CBC: রক্তে বিদ্যমান তিন প্রকারের রক্তকণিকার RBC, WB, এবং platelets এর পরিমাণ এই পরীক্ষা উপস্থাপন করে থাকে। এই রিপোর্ট দেখে রোগীর সামগ্রিক স্বাস্থ্য বোঝা যায়। এছাড়া রোগীর leukaemia, anaemia ইত্যাদি লক্ষণ আছে কিনা তার ধারণা পাওয়া যায়। CBC রিপোর্ট এর সাবজেক্ট গুলো হলোঃ

RBC count: লোহিত রক্তকণিকা শরীরের সমস্ত অঙ্গে অক্সিজেন সরবরাহ করে থাকে এবং এসব অঙ্গ থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড ফুসফুসে নিয়ে আসে। এটির normal value 4.5 to 5  million/cu mm. এর পরিমাণ কমে গেলে সেটিকে anaemia বলে। এটি 7 million/cu mm এর কম হলে তাকে polycythemia আর 14 million/cu mm এরচেয়ে বেড়ে গেলে তা cancer বিশেষত bone marrow cancer হতে পারে।

Mean corpuscular volume (MCV): এটির normal range 78 to 90 FL. এই মানের বেশি হলে বুঝতে হবে vitamin deficiency anaemia.  আর কম হলে বুঝতে হবে iron deficiency anaemia.

Mean corpuscular hemoglobin (MCH): RBC এর একটি cell এ হিমোগ্লোবিনের মাত্রা। এটির normal range হল 27 to 32 pg. এই মাত্রা থেকে কম হলে deficiency anaemia নির্দেশ করে।

Mean corpuscular hemoglobin concentrate (MCHC): অর্থাৎ হিমোগ্লোবিন এর একটা cell এ hemoglobin concentrate কত। এর Normal range হল 30 to 38 percent. এর কম হলে সেটি iron deficiency anaemia.

হিমোগ্লোবিনঃ রক্তে এটির স্বাভাবিক মাত্রা হল 12 to 16 gm/dL. রক্তে HB কমে গেলে সেটি রক্তস্বল্পতা বা Anaemia বোঝায়।

রক্তে low HB detected হলে পিছনে যে সমস্ত কারণ থাকতে পারে তা হলঃ
মোটাদাগে তিনটা কারণে এনিমিয়া হয়ে থাকে-

১)  উৎপাদনের কারণে।(Malnutrition deficiency anaemia).
২) অন্য রোগের কারণে।(thalassaemia, sickek cell anaemia etc).
৩) ব্লাড লস হয়ে।(anaemia due to blood loss).

আমাদের দেশে সাধারণত iron deficiency anaemia খুব কমন। তবে iron deficiency anaemia নিশ্চিত না হয়ে অতিরিক্ত iron supplement করলে iron overload হতে পারে।
HB Level 10 এর নীচে নেমে গেলে সেটিকে anaemia ধারা হয়। এটি 7.00 এর নিচে নেমে গেলে very severe anaemia বলে। তখন blood transfusion করার কথা চিন্তা করতে হবে। না হলে blood transfusion না করে রোগের কারণ খুঁজে বের করতে চেষ্টা করতে হবে। অন্য কোন ভাবে সমাধান করা যায় কিনা সেই চেষ্টা করতে হবে।

১) উৎপাদনের সমস্যাঃ রক্তে RBC তে যেখানে হিমোগ্লোবিন থাকে সেটার কাঁচামাল হিসেবে কাজ করে iron, protein, vitamin b12, vitamin D, folic acid ইত্যাদি। শরীরে এসব উপাদানের ঘাটতি হলে, বিশেষত iron এর ঘাটতি হলে এনিমিয়া দেখা দিতে পারে।

২) অন্য রোগের কারণেঃ যেখান থেকে রক্ত উৎপাদন হয় অর্থাৎ bone marrow সেখানে কোন সমস্যা যেমনঃ aplastic anaemia এছাড়াও অন্য কিছু রোগ জনিত কারণে যেমন- chronic liver disease, chronic kidney disease, sickel cell anaemia, thalassemia ইত্যাদিতে anaemia হতে পারে।

৩) ব্লাড লস হয়েঃ দুর্ঘটনাজনিত acute hemorrhage, অতিরিক্ত রজঃস্রাব জনিত কারণ, পাইলস বা hemorrhoid থেকে দীর্ঘমেয়াদি রক্তক্ষরণ, peptic ulcer
কৃমিজনিত বা অন্য কোনো কারণ ঘটিত শরীর থেকে
অল্প অল্প করে রক্তক্ষরণ হতে পারে যেটি খালি চোখে হয়তো আমরা দেখতে পাই না। কিন্তু এরুপ অল্প
অল্প কিছু কিছু করে রক্তক্ষরণ হতে হতে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়।

WBC: রক্তে এটির normal range হলো 4000 to 11000 cu mm. এটি আমাদের শরীরে সৈনিকের ন্যায় বিভিন্ন রোগ জীবাণু ও ইনফেকশনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। রক্তে WBC মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে গেলে তাকে  leukocyte বলে। এটির পরিমাণ মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে গেলে বুঝতে হবে শরীরে কোনো ইনফেকশন আছে। আর এটির পরিমাণ কমে গেলে তা ক্যান্সার/এইডস এসব রোগকে নির্দেশ করে।

WBC কমে গেলেঃ
1) viral or bacterial infection(ম্যালেরিয়া ডেঙ্গু টাইফয়েড)
2) TB.
3) Leukemia.
4) aplastic anemia.

রক্তে WBC বেড়ে গেলেঃ
1) bacterial infection (pneumonia, urinary tract infection).
2) allergies.
3) whooping cough.
4) stress.
5) smoking.

সাধারণত গর্ভাবস্থায় একজন স্ত্রীলোকের রক্তে গেলে WBC এর পরিমাণ বেড়ে যায়।

CBC রিপোর্ট WBC এর ৫টি প্রধান উপাদানের পরিমাণ ও তার এক একটি উপাদানের সাথে অন্যটির তুলনা উপস্থাপন করে। এই ৫টি উপাদান হলোঃ
1) Neutrophils 40 to 60 percent.
2) lymphocytes 20 to 40 percent.
3) monocytes 2 to to 8 percent.
4) eosinophils 1 to 4 percent.
5) basophils 0.5 to 1 percent.

Neutrophils: এটি বেড়ে গেলে bacterial infection, acute infection আর কমে গেলে TB, typhoid, bone marrow failure, autoimmune disease ইত্যাদি নির্দেশ করে।

Lymphocytes: এটি বেড়ে গেলে thyroidism, TB, malnutrition, mumps আর কমে গেলে cancer/aids ইত্যাদি রোগ নির্দেশ করে।

Eosinophils: এটি বেড়ে গেলে allergies, asthma, blood pressure, intestinal parasites ইত্যাদি নির্দেশ করে।

Platelet: তিন ধরনের রক্ত কণিকার মধ্যে Platelet বা অনুচক্রিকা আকারে সবথেকে ছোট। এটি রক্তকে জমাট বাঁধতে সহায়তা করে।

Mean platelet volume (MPV): রক্তে platelet কম হলে রক্তস্রাব সহজে বন্ধ হতে চায় না। কারণ তখন রক্ত জমাট বাঁধে না। dengue, malaria, typhoid, viral infection, smallpox, chickenpox ইত্যাদি রোগে platelet খুব কমে যায়। আর রক্তে platelet এর পরিমাণ খুব বেড়ে গেলে তা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। রক্তে platelet মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে গেলে রোগীকে অতি দ্রুত হাসপাতালে রেফার করতে হবে। রক্তে platelet কমে গেলে তাকে thrombocytopenia বলে।

Comprehensive metabolic panel: এই পরীক্ষা যে সমস্ত উপাদান এর ফলাফল উপস্থাপন করেঃ
Albumin test: (3.4 to 5.4 gd/L)
Albamine এক ধরনের প্রোটিন যেটি লিভার থেকে উৎপন্ন হয় এটি স্বাভাবিক থেকে কমে গেলে liver disease, kidney disease, malnutrition, thyroid disease ইত্যাদিকে নির্দেশ করে আরেকটি বেড়ে গেলে তা dehydration বা মারাত্মক প্রকৃতির diarrhoea কে নির্দেশ করে।

Billirubin test: (0.1 to1.2 mg/dL)
বাদামি হলুদ রঙের বিলিরুবিন থাকে পিত্তরসে। এটি সাধারণত পায়খানার সাথে বের হয়ে যায়। এই কারণে পায়খানার রং হলুদ দেখায়। রক্তে বিলিরুবিন বেড়ে গেলে জন্ডিস রোগ দেখা দেয়। চোখ-মুখ, আঙ্গুল, না সব হলদেটে হয়ে যায়। লিভার সিরোসিস, হেপাটাইটিস, লিভারের অন্য কোনো রোগ ও ঔষধ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দ্বারা লিভারের কোন ত্রুটি হলে বা পিত্তথলির পাথরী রোগ হলে রক্তে বিলিরুবিন টেস্ট করে আমরা তা জানতে পারি।

Creatinine test: (.6 to 1.3 mg/dL)
শরীরে পেশিশক্তি তৈরির জন্য Creatinine খুবই গুরুত্বপূর্ণ রক্তে Creatinine বেড়ে গেলে সেটি কিডনির কর্মহীনতা নির্দেশ করে।

Total protein test: (6 to 8.3 g/dl)
Albumin এবং globulin এই দুই প্রকারের প্রোটিন এর অনুপাত পরীক্ষা করা হয়। low protein level liver, kidney ইত্যাদির রোগ ও malnutrition নির্দেশ করে। আর high protein level ইনফেকশন ও bone marrow disorder নির্দেশ করে।

Fasting blood sugar test: (70 to 100 mg/dL)
ব্লাড সুগারের অস্বাভাবিক উপস্থিতি ডায়াবেটিস কে নির্দেশ করে। ন্যূনতম ৬ ঘন্টা উপবাস থেকে তবেই এই টেস্টটি করতে হয়। খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এই টেস্ট করালে তা রক্তের শর্করাকে প্রভাবিত করে।

Blood urea nitrogen (BUN): (2.14 to 7.14) mmoL/L)
এই টেস্ট দ্বারা রক্তে নাইট্রোজেন এর মাত্রা পরিমাপ করা হয়। এটির উচ্চমাত্রার উপস্থিতি কিডনি রোগকে নির্দেশ করে। আর এটি কম হলে তা লিভারের অসুস্থতা, অপুষ্টি এসব নির্দেশ করে।

Calcium test: (8.5 to 10.2 mg/dL)
রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা কম হলে তা প্যারাথাইরয়েড গ্রন্থির কম ক্রিয়াশীলতা নির্দেশ করে। কম ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ ও vitamin D deficiency বোঝায়। আর উচ্চমাত্রা থাইরয়েড গ্রন্থির অতিরিক্ত কাজ, অতিরিক্ত vitamin D গ্রহণ কিডনির সমস্যা ইত্যাদি নির্দেশ করে। রক্তে ক্যালসিয়ামের সঠিক মাত্রা নির্ধারণের জন্য total serum test এবং albumin টেস্ট এর প্রয়োজন হয়।

Chloride test: (96 to 106 mEql/L)
রক্তে chloride এর বর্ধিত মাত্রা ডিহাইড্রেশন, কিডনী রোগ ও এড্রেনাল গ্রন্থির কর্মহীনতা নির্দেশ করে।

Phosphorus test: (3.6 to 5.2 mmol/L)
রক্তে উচ্চ ফসফরাসের মাত্রা কিডনি এবং প্যারাথাইরয়েড গ্রন্থির রোগ নির্দেশ করে।

Potassium test:
পটাশিয়াম স্নায়ু ও পেশীর কার্যকারিতা বজায় রাখে এবং হৃদপিণ্ড নিয়ন্ত্রণ করে।

Sodium test: (135 to 145 mEq/L)
এটির অস্বাভাবিক মাত্রা ডিহাইড্রেশন, কিডনি, লিভার, এড্রেনাল গ্রন্থির নির্দেশ করে।

ALT(alanine aminotransferase): (4 to 36 u/L)
এটি এক ধরনের enzyme যা liver এর cell থেকে উৎপন্ন হয়ে থাকে। এটির অতিরিক্ত বৃদ্ধি লিভারের অসুস্থতা নির্দেশ করে।

ATS(aspartate aminotransferase): (8 to 33 u/L)
এটি এক ধরনের enzyme যা আমাদের শরীরের muscle tissue RBC তে পাওয়া যায়। লিভার, কিডনি, হার্ট, প্যানক্রিয়াস এগুলোতে এর দেখা পাওয়া যায়। এটির মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের পাশাপাশি কিডনি, লিভার ও হার্টের ক্ষতি নির্দেশ করে।

Alkaline phosphatase test: (20 to 130 u/L)
Kalayn phosphatase এক ধরনের enzyme যেটি লিভার এবং হার্টের কোষে উৎপন্ন হয়। এটির অস্বাভাবিক পরিমাণের অবস্থিতি লিভারের অসুবিধা এবং হাড়ের সমস্যা বিশেষত হাড়ের টিউমার বা rickets কে নির্দেশ করে।

CO2 (carbon dioxide): (23 to 29 mEq/L)
তে এটির normal range হলো (23 to 29 mEq/L.

3) Lipid Panel (LP): Lipid Panel এই পরীক্ষা যে সমস্ত উপাদান এর ফলাফল উপস্থাপন করেঃ

Total cholesterol test:  এই পরীক্ষা দ্বারা রক্তে LDL(খারাপ কোলেস্টেরল) ও HDL(ভালো কোলেস্টেরল) পরিমাপ করা হয়।

Triglyceride test:  রক্তে চর্বির উপস্থিতি পরিমাপ করা হয়। এটি দ্বারা সম্ভাব্য হৃদরোগের ঝুঁকি অন্যান্য শারীরিক অসুবিধা জানা যায়।

Total cholesterol to HDL rate test: মোট কোলেস্টেরল এর সাথে HDL কোলেস্টেরলের অনুপাত বিবেচনা করা হয়। এটির উচ্চ অনুপাত হার্টের অসুখ কে নির্দেশ করে।

HDL cholesterol test: HDL cholesterol বা high density lipoprotein হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে খুবই কার্যকরী। এটি রক্তে কম উপস্থিতি হার্টের সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়।

LDL Cholesterol test: এটি low density lipoprotein বা খারাপ কোলেস্টেরল। এটির বৃদ্ধি হার্টের রোগ এবং হার্টের ব্লকের বাড়াতে সাহায্য করে।

রক্তে ESR বৃদ্ধি হলেঃ
1) Infections(appendicitis).
2) inflammation.
3) arthritis.
4) pneumonia.
5) autoimmune disease.
6) anaemia in pregnant women.

বৃদ্ধ বয়সে অনেক সময় শরীরে ESR বেড়ে যায়।

—————————
ডাঃ দীপংকর মন্ডল
ডিএইচএমএস(ঢাকা)
১৬/১২/২০২১

Dr. Dipankar Mondal
Dr. Dipankar Mondal
আমি ডা. দীপংকর মন্ডল। রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথ। যেকোন নতুন ও পুরাতন রোগের চিকিৎসা করার জন্য যোগাযোগ করুন।
RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments